দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নামকরণ, অবস্থান, গুরুত্ব, প্রধান ও সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নামকরণ:
1839 সালে একটি বিবরণে সর্বপ্রথম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কথাটির উল্লেখ পাওয়া গেছে। আমেরিকার ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি সোসাইটির উদ্যোগে নানা অজানা তথ্য আহরণের উদ্দেশ্যে Howard Malcolm নামে একজন মার্কিন ধর্মপ্রচারক এই অঞ্চলে আসেন। 1839 সালে দেশে ফিরে তিনি একটি বিবরণ প্রকাশ করেন বিবরণের শিরোনাম ছিল-
”ট্রাভেলস ইন সাউথ ইস্টার্ন এশিয়া এমব্রেসিং হিন্দুস্তান, মালয়,শ্যাম, চায়না অ্যান্ড দ্য বার্মা এম্পায়ার” ।
এ বিবরণেই প্রথম south-east Asia (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) কথাটির উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে অনেকেই এ অঞ্চলকে মৌসুমী এশিয়া নামেও অভিহিত করেছেন। কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার যে সিংহল, ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং দক্ষিণ চীনের অনেকাংশ মৌসুমী এশিয়ার অন্তর্গত। অর্থাৎ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চেয়ে মৌসুমী এশিয়ার পরিধি আরো ব্যাপক।
1937 সালের নভেম্বর থেকে 1938 সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে ;আমেরেশিয়া’ পত্রিকায় এই অঞ্চলের উপর যে তিনটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল তাদের মধ্যে একটিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ব্যবহৃত হয়েছে ।
এই অঞ্চলকে বুঝাতে J.S Furnivall ‘ট্রপিক্যাল ফারইস্ট’ কথাটি প্রয়োগ করেছেন
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই প্রথম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কথাটির সচেতন উল্লেখ পাওয়া যায়। যুদ্ধের সময় এমন একটি ধারণা গড়ে উঠেছিল যে রণনীতি ও রণকৌশলের দৃষ্টিকোণে এ অঞ্চলকে ভারতবর্ষ চীন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশরূপে দেখা সংগত নয়। ভৌগলিক বিচারে মনে হয়েছিল যে বার্মা, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া যৌথভাবে অভিন্ন পরস্পরাগত পরিচয় রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক প্রয়োজনের তাগিদেই এই অঞ্চল কে একটি সাধারণ নামে অভিহিত করার প্রয়োজন অনুভূত হয়েছিল। সেজন্য 1943 সালের মে মাসে ওয়াশিংটন সম্মেলনে এ ‘সাউথইস্ট এশিয়া কমান্ড’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকেই ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া’ কথাটির ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়।
“The term Southeast Asia, for example, only came into general use during the Second World War, especially in relation to Japan's occupation of the area during the Pacific War” [Jönsson, Kristina (2010)]
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নামকরণ সম্পর্কে অশনি সংকেত উপন্যাসের কিছু সংলাপ-
বৃদ্ধ নবদ্বীপ ঘোষাল বললে- এসব হাঙ্গামা কত দিনে মিলবে ঠাকুরমশাই? শুনেছি নাকি কি একটা পুর জার্মান নিয়ে নিয়েচে?
বিশ্বাস মহাশয় বললেন - সিঙ্গাপুর
নবদ্বীপ বললে- সে কোন জেলা ? আমাদের এই যশোর, না খুলনে? মামুদপুর এর কাছে ?
বিশ্বাস মহাশয় হেসে বললেন- যশোরও না, খুললেও না,সে হলো সমুদ্দুরের ধারে। বোধহয় পুরীর কাছে, মেদিনীপুর জেলা। তাইনা পণ্ডিতমশাই?
গঙ্গাচরণ ভালো জানে না, কিন্তু এদের সামনে অজ্ঞতা দেখানো যুক্তিযুক্ত নয়। সুতরাং সে বললে, হ্যা, একটু দূরে পশ্চিম দিকে। ঠিক কাছে নয় ।
উপরে উল্লেখিত কথাগুলো বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অশনি সংকেত’-এ আমরা শুনেছি। ‘অশনি সংকেত’ থেকে আরো কয়েকটি লাইন হচ্ছে-
-জাপানিরা সিঙ্গাপুর নিয়ে নিয়েচে
-শুধু সিঙ্গাপুর কেন? ব্রহ্মদেশও নিয়ে নিয়েচে। জানো না সে খবর ?
-না ইয়ে-শুনিনিতো ? ব্রহ্মদেশ ?
যেখানে থেকে রেঙ্গুন চালে আসেরে ভায়া। ঔযে সস্তা, মোটা মোটা আলো চাল, সিদ্ধও আছে, তবে আমি আতপ চালটাই খাই।
অতিবাস্তব কারণে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় সাধারণ ভারতবাসী এমনকি গ্রামীণ মানুষ সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের পরিচয় লাভ করেছে । অশনি সংকেত এর সাক্ষ্য থেকে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কে ভারতবর্ষের কাছাকাছি টেনে এনেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এশিয়ার অবস্থান:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এশিয়া মহাদেশের একটি অঞ্চল যা গণচীনের দক্ষিণে, ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বে ও অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত দেশ ও অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উত্তর সীমানায় পূর্ব এশিয়া, পশ্চিমে দক্ষিণ এশিয়া ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ওশেনিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মহাসাগর অবস্থিত। অঞ্চলটির সিংহভাগ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত হলেও এর কিয়দংশ দক্ষিণ গোলার্ধেও অবস্থিত, যা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একমাত্র এশীয় মহাদেশীয় অংশ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত:
১. মেইনল্যান্ড বা মহাদেশীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: যা এশিয়া মহাদেশের মূল ভূ-খণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় অবস্থিত একটি উপদ্বীপ। একে ঐতিহাসিকভাবে ইন্দোচীন নামেও ডাকা হয়। এটি কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম রাষ্ট্রগুলি নিয়ে গঠিত। ২. আইল্যান্ড বা সামুদ্রিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: যা এশিয়া মহাদেশের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সমুদ্রে অবস্থিত বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ ও একটি বৃত্তচাপাকৃতি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে নুসান্তারা, পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, কিংবা মালয় দ্বীপপুঞ্জ নামেও উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভৌগলিক গুরুত্ব
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভৌগলিক গুরুত্ব:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভৌগোলিক গুরুত্ব মূলত বাণিজ্যিক। আর বাণিজ্যিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এর রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। ভারত মহাসাগর থেকে জলপথে চীন-জাপান বা প্রশান্ত মহাসাগর যেতে হলে এ পথ ধরেই যেতে। হয় ফলে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলে যাত্রাবিরতি কত। এখানকার মসলার জন্য বিশ্বে এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। বণিকরা এখানে কিছুদিন অবস্থান করে আনীত পণ্য বিক্রি করে মশলা কিনে নিয়ে অন্যত্র চলে যেত। সকল বাণিজ্যতরীগুলোই যাতায়াত। করতো আধুনিক সিঙ্গাপুর এই এলাকার বাণিজ্যিক গুরুত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান ও সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অবস্থান মৌসুমী বা বিষুবীয় অঞ্চলে। ফলে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি হয় এবং প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘন নিবিড় অরণ্যে আচ্ছন্ন। জনবসতি গড়ে উঠেছে নদীর কুলে। নদী হলো যোগাযোগের প্রধান পথ। মূল ভূখণ্ডে উত্তর-দক্ষিণে অনেকগুলো গিরিমালা রয়েছে। গিরিমালা থেকে অনেকগুলো দীর্ঘ নদী উৎসারিত হয়েছে । যেগুলোর বয়ে যাওয়া পলি দ্বারা চাষাবাদ করা হয়। এখানে রয়েছে অসংখ্য দ্বীপ, যেগুলো এই এলাকার একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য। যার কারণে মূল ভূখণ্ডের বাইরে জাতিগত ঐক্য গড়ে উঠতে অনেক বেশি সময় লেগেছে।
জনগোষ্ঠী
সুপ্রাচীন কাল থেকেই বিপুল জনশ্রুত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এসেছে। প্রথম এসেছে আদিম অস্ট্রেলিয় ও নেগ্রিটো জনগোষ্ঠী। খ্রিস্টপূর্ব 3000-2000 বছর আগে দক্ষিণ-পশ্চিম চীন থেকে এসেছে ইন্দোনেশীয় ও অস্ট্রোনেশীয় জনগোষ্ঠী, এরা প্রটোমালয় ও দুতারো মালয় এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। সাওফ্রায়া উপত্যকা থেকে এসেছে অস্ট্রো-এশীয় মোন গোষ্ঠী। এরা নিম্ন ব্রহ্মদেশে বসতি গড়েছে । খেমাররুজরা এসেছে মেকং উপত্যকা থেকে। দক্ষিণ চীন/তিব্বত থেকে এসেছে ভিয়েতনামীরা।
সংস্কৃতি:
জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র থাকলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাসিন্দাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক জীবনের যথেষ্ট মিল রয়েছে।আদিতে সংস্কৃতি ছিল মেসোলিথিক। মসৃণ ধারালো পাথরের ব্যবহার দেখা যায় এদের মধ্যে। শ্যামদেশ এবং সুমাত্রায়ও এর প্রমাণ মিলেছে। নব্য প্রস্তর যুগের চারকোনা বাটালির প্রচলন দেখা যায়। এখানে মৃৎপাত্র পাওয়া গেছে। ডোংসন সংস্কৃতি এসেছিল চীন থেকে। ব্রোঞ্জ-লৌহ যুগের সংস্কৃতি ডোংসন সংস্কৃতির নামে পরিচিত। বড় আকারের ব্রোঞ্জের ড্রাম ছিল এ সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন।
ভাষা:
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে ইন্দোচীনের অস্ট্রিক জাতীয় মানুষের কিছু অংশই সর্বপ্রথম মালয় উপদ্বীপ, সুমাত্রা, জাভা ও ইন্দোনেশীয় এলাকাতে যায়। এখানে আগেকার নানা জাতির সাথে এদের সংমিশ্রণ ঘটে। সুনীতিকুমার এই ভাষার সূত্র বিবেচনা করে বলেছেন ভারত, ইন্দোচীন ও দ্বীপময়ভারত একই সূত্রে গ্রথিত। ইন্দোনেশিয়াতে ২৫০ টি ভাষা রয়েছে, এগুলোকে ১৬ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
অর্থনীতি ও পেশা:
আদি পর্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। পশু শিকার ও মাছ চাষ ছিল এদের প্রধান জীবিকা । পরে বনভূমি পরিষ্কার করে তারা কৃষি কাজে আত্মনিয়োগ করে । সেচের মাধ্যমে ধান চাষ করাও তারা শিখেছিল। হাতিয়ার হিসেবে লাঙ্গল এর ব্যবহার শিখেছিল এবং মহিষজাতীয় পশু পোষ মানাতে পেরেছিল। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বাড়তে থাকে সেচ ও কৃষি কে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে ওঠে।
.
ধর্মবিশ্বাস:
ধর্মবিশ্বাসের দিকে তাকালে দেখা যায় এরা পূর্বপুরুষদের পূজা করত, সর্বপ্রাণবাদে বিশ্বাসী ছিল। উঁচু স্থানে বেদী বা স্তুপ নির্মাণ করে তারা পূজা-অর্চনা দিত। পর্বত ও সমুদ্রের মধ্যে দ্বৈতভাবের ধারণা তাদের বিশ্বাসের ছিল। মৃতদেহ বাক্সে বা পাথরে রেখে সমাহিত করতো। এলাকাভেদে এগুলোর ভিন্নতা ছিল। পরে এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্ম ছড়াতে থাকে।
পারিবারিক কাঠামো:
এখানকার মানুষের পরিবার ছিল মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। মহিলারা সম্মানের আসনে থাকতো মায়ের দিক থেকে উত্তরাধিকার নির্ধারিত হত।
সভ্যতার বৈশিষ্ট্য:
আদিম সভ্যতার অনেক কিছুই এখানে পাওয়া গেছে। এখানে আদিম জনগোষ্ঠীর মাথার খুলি পাওয়া গেছে। এরা সেচ নির্ভর ধান চাষ, মহিষ ও ষাড়ের ব্যবহার, ধাতুর প্রচলন,ও নৌবিদ্যায় পারদর্শিতা দেখিয়েছিল। সেচ দিয়ে ধান চাষ, গৃহপালিত পশু হিসেবে ষাড় ও মহিষের ব্যবহার, ধাতুর প্রচলন, নৌ-বিদ্যায় দক্ষতা, মাতৃতান্ত্রিক সমাজ, নারীদের উচ্চমর্যাদা, সর্বপ্রাণবাদ, পূর্বপুরুষ পূজা, উচ্চ বেদিতে পূজা অর্চনা করা ইত্যাদি ছিল এদের নিজস্ব সংস্কৃতির জীবনের বিচিত্র লক্ষণ সমষ্টি।
রাষ্ট্রব্যবস্থা:
এখানে দুই ধরনের রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। মূল ভূখণ্ডে জলসেচ ও ধান চাষের ভিত্তিতে ছোট ছোট রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে ওঠে। অন্যদিকে দীপময় ভূখণ্ডে নৌ-বিদ্যায় পারদর্শীতার কারণে বাণিজ্যিক রাজ্য গড়ে ওঠে। বাণিজ্যিক রাজ্যগুলো ছিল মৌসুমী বায়ু প্রভাবিত। বাণিজ্য ও লুটতরাজ ছিল এগুলোর সমৃদ্ধির মাধ্যম।
সমাজে নারীর অবস্থান:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমগ্র অঞ্চলের নারীরা সমাজে উচ্চ মর্যাদার আসনে সমাসীন ছিল। এখানকার কোন সমাজে নারীদের কে কখনো ছোট বা অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হতো না। মাতৃতান্ত্রিক সমাজ থাকায় এখানে নারীরাই ছিল পরিবারের নিয়ন্ত্রক এবং মায়ের দিক থেকে উত্তরাধিকার নির্ধারিত হত।
আরো পড়ুন-
প্রাক - মুসলিম মালয় জগতের উপর ভারতীয় ও চৈনিক প্রভাব: স্বরূপ ও তাৎপর্য
No comments:
Post a Comment