Breaking

Wednesday 17 August 2022

বাংলাদেশের সমাজ ও জনজীবনে ভূ প্রকৃতির প্রভাব

 

বাংলাদেশের সমাজ ও জনজীবনে ভূ প্রকৃতির প্রভাব

(Geo-Natural Impact on the society and public life of Bangladesh:)


মানুষের সাথে প্রকৃতির একটি অবিচ্ছেদ ও অকৃত্রিম সম্পর্ক রয়েছে। এই প্রকৃতির ছায়া তলে মানুষ জন্মগ্রহণ করে বয়ঃপ্রাপ্ত হয় এবং জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। আর এ ভূ-প্রকৃতি প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের উপর প্রভাববিস্তার করে। ভূ প্রকৃতির প্রভাবের কারণেই কোন অঞ্চলের মানুষ হয় সাহসী, উদ্যমী ও কর্মঠ, আবার কোন অঞ্চলের মানুষ হয় অলস ও আরাম প্রিয়। ভূ প্রকৃতির প্রভাবের কারণেই কোন অঞ্চলের অধিবাসী খুব সহজেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারে আবার এই ভূ প্রকৃতির প্রভাবের কারণেই কোন অঞ্চলে কঠিন পরিশ্রম করে অতি কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। নিম্নে বাংলাদেশের ভূ প্রকৃতির প্রভাবসমূহ আলোচনা করা হল-


বাংলাদেশের সমাজ ও জনজীবনে ভূ প্রকৃতির প্রভাবসমূহ :

১. জনসংখ্যার অবস্থান ও সভ্যতার উৎপত্তি:

ভূ প্রকৃতির প্রভাবের কারনেই সমতল ভূমিতে ঘনবসতি এবং পাহাড়ী অঞ্চলে স্বল্প জনবসতি দেখা যায়। ভূ প্রকৃতির প্রভাবের কারনেই নদীর তীরবর্তী এলাকায় সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে।

২. মানুষের জীবন ধারা:

ভূ প্রকৃতির সাথে মানুষের জীবন ধারার এক আধ্যাত্মিক মিল রয়েছে। মানুষের সার্বিক জীবন ধারার উপর ভূ প্রকৃতি প্রভাব বিস্তার করে। ভূ-প্রকৃতির প্রভাবের ফলে পাহাড়ি বা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। খাদ্যাভাব তাদের দারিদ্র করেছে বটে কিন্তু তারা সৎ। আবার এ ভূ-প্রকৃতির প্রভাবের ফলেই সমতল ভূমি-অঞ্চলের লোকেরা অনেকটা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করে। আবার এসব অঞ্চলের বসবাস উপযোগী বলে জনবসতি খুব ঘন হয়েছে।

৩. জীবিকা নির্বাহ:

ভূ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই পাহাড়ি এলাকার এবং সমভূমি অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা বিপরীতমুখী হয়ে থাকে। সমতল ভূমিতে জীবিকা নির্বাহ করা সহজ কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চলে জীবিকা নির্বাহ করতে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়। কৃষি ও ফসল উৎপাদন সমতল ভূমিতে খুব সহজেই করা যায় বলে সমতল ভূমির মানুষ অল্প পরিশ্রম করে এবং তারা অলস প্রকৃতির হয়। পক্ষান্তরে পাহাড়ি অঞ্চলে জুম চাষের মাধ্যমে ফসল ফলানো অত্যন্ত কঠিন এবং কষ্টকর। ফলে তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী ও কর্মঠ হয়ে থাকে।


আরও পড়ুন-

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, সীমানা ও ভূপ্রকৃতির বৈশিষ্ট্যসমূহ


৪. চারিত্রিক প্রভাব:

ভূ প্রকৃতি মানুষের জীবন ধারার উপর পুরোপুরি প্রভাব বিস্তার করে। আর এর একটি আদর্শিক উদাহরণ মানুষের চারিত্রিক ভিন্নতা। এটা ভূ প্রকৃতির কারণেই হয়ে থাকে। পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা সাধারণত বলিষ্ট, স্বাস্থ্যবান, সাহসী, পরিশ্রমী, উৎসাহী কষ্ট সহিষ্ণু হয়ে থাকে। পার্বত্য পরিবেশ তাদের দেহ মন ও চরিত্রের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। পার্বত্য কর্মীদের প্রায় বন্য জন্তুর  সাথে সম্মুখীন হতে হয় বলে তারা খুবই সাহসী। অন্যদিকে সমভূমি অঞ্চলের লোকদের মধ্যে সাহসী, উৎসাহী ও পরিশ্রমী ভাব কম পরিলক্ষিত হয়।

৫. অর্থনৈতিক কার্যাবলির উপর ভূ প্রকৃতির প্রভাব:

বাংলাদেশের ভূ প্রকৃতি ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে নানাভাবে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বঙ্গোপসাগর থেকে আগত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু  পাহাড়ে বাধা পেয়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটায়। এ বৃষ্টির ফলে বাংলাদেশের কৃষিকার্যে ব্যাপক উন্নতি ঘটে। যার ফলে শীতকালে ব্যাপক রবি শস্য ফলে। এছাড়া অধিক বৃষ্টি বহুল পাহাড়ি অঞ্চলে বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে। এসব বনভূমি হতে প্রচুর মূল্যবান কাঠ ও অন্যান্য বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া পাহাড়ের ঢালে চা, রাবার, আনারস, ইত্যাদির চাষ হয়। মধ্য অঞ্চলের অধিকাংশ স্থানেই কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য পরিবহন ইত্যাদি বিশেষ উন্নতি হয়েছে। এখানে সমতল ভূমি ও বহু নদ নদী থাকায় সড়ক, রেল ও জনপথে পরিবহন বেশ উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমির লবণাক্ত ভূমির প্রভাবে বিশাল স্রোতব্য বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে। এ বনভূমির অর্থনৈতিক গুরুত্ব খুবই বেশি কারণ দেশের মোট উৎপাদিত কাঠের ৬০% এ বনভূমি থেকে সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া ভগ্ন উপকূলের প্রভাবে এ দেশে দুটি স্বাভাবিক সামুদ্রিক বন্দর গড়ে উঠেছে যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্যে সহায়তা করছে।

৬. শিক্ষার উপর ভূ প্রকৃতির প্রভাব:

বাংলাদেশের শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ভূ-প্রকৃতির প্রভাব রয়েছে। পাহাড়ি বন্ধুর পরিবেশে জীবন নির্বাহ অনেক কষ্ট কর বিধায় পাহাড়ি অঞ্চলের লোকেরা শিক্ষার প্রতি কম গুরুত্ব ও কম সময় দিয়ে থাকে। পাহাড়ি অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম।সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা অত্যন্ত কঠিন ও ব্যয়বহুল। অন্য দিকে সমতল ভূমিতে প্রচুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সমতল ভূমি অঞ্চলের লোকেরা কম পরিশ্রম করে বিধায় তারা অধিক সময় শিক্ষা,সাহিত্য, কলা ও বিজ্ঞান ইত্যাদি চর্চার সুযোগ পায় ।

৭. যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর ভূ প্রকৃতির প্রভাব:

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ বলে এখানকার নিচু অঞ্চলের যা যোগাযোগের প্রধান মাধ্যমে নৌকা, লঞ্চ, স্টীমার ইত্যাদি। এসব অঞ্চল দিয়ে নৌপথে পন্য পরিবহন বেশি হয়। সমতল অঞ্চলের নদীগুলোর উপর সেতু নির্মাণ করে যোগাযোগে ব্যবস্থাকে সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অনুকূল নয়। তাই এখানকার কোন কোন অঞ্চলে সড়ক পথ ও রেলপথ নির্মাণ করা কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। 


আরও পড়ুন-

বাঙ্গালি জাতির নৃতাত্ত্বিক পরিচিতি, Ethnographic identity of the Bengali nation


৮. সাংস্কৃতির উপর প্রভাব:

ভূ-প্রকৃতির প্রভাব মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনেও পড়ে। ভূ-প্রকৃতির ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের সাংস্কৃতিক চর্চা এক ধরনের আবার সমভূমির মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চা ভিন্ন হয়ে থাকে। পাহাড়ি অঞ্চলের লোকেরা নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা করে আবার সমভূমি এলাকার লোকেরাও তাদের নিজেদের সাংস্কৃতি চর্চা করে থাকে।

৯. নগরায়ন ও শিল্পায়নের উপরে ভূ-প্রকৃতির প্রভাব:

বাংলাদেশে নগরায়ন, শিল্পায়ন ও শিল্প কলকারখানার স্থান নির্বাচনে ভূ প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সাধারণত নদীর তীরে এ দেশের শহরগুলো গড়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম,নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট এ কারণেই বন্দর বা শিল্পনগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। রাজশাহীর রেশম শিল্প ঐ অঞ্চলের গুটি পোকা চাষের উপযোগী ভূ-প্রকৃতির জন্য গড়ে উঠেছে। সিলেট অঞ্চলের ছোট ছোট পাহাড় এবং সেই সাথে প্রচুর বৃষ্টিপাত চা শিল্পের জন্য উপযোগী ।পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর বাঁশ পাওয়া যায় সে জন্য চন্দ্রঘোনায় কাগজের শিল্প গড়ে উঠেছে। আবার সুন্দরবনে প্রচুর গেওয়া কাঠ পাওয়ার কারণে খুলনাতে নিউজপ্রিন্ট শিল্প গড়ে উঠেছে। 

১০. অপরাধ প্রবণতার উপর প্রভাব:

ভূ প্রকৃতির উপর অপরাধ প্রবণতার কম-বেশি প্রভাব রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে সমতল অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে অপরাধ প্রবণতা কম। অপরদিকে, পার্বত্য অঞ্চলে অপরাধ প্রবণতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়। পাহাড় ঘেরা দুর্গম এলাকার লুকিয়ে থাকা সহজ বলে অপরাধীরা ক্ষুন, ধর্ষণ, হত্যা, লুণ্ঠন ইত্যাদি করে পালিয়ে থাকতে পারে। ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য কারণে রাত দীর্ঘ হলে চোর ডাকাতের উপদ্রব বাড়ে, আবার ছোট হলে সেগুলো কমে যায়।  

১১. ভাষাগত প্রভাব:

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষার মধ্যে একটি স্বকীয়তা রয়েছে। আর এটি ভূ-প্রকৃতির বিভিন্নতায় একেক রকম হয়ে থাকে, যেমন পাহাড়ি অঞ্চলের ভাষা এবং সমভূমি অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভাষার পার্থক্য রয়েছে।

১২. যানবাহনের ধরন: 

ভূ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে যানবাহনের ধরনের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। সমতল ভূমিতে যে সমস্ত যারবাহন চলাচল করতে পারে সাধারণত বন্ধুর বা পাহাড়ি অঞ্চলে সে সমস্ত যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সমতল ভূমির যানবাহন এর তুলনায় পাহাড়ি অঞ্চলের যানবাহন বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। যেমন আমাদের সমতল ভূমিতে বাস, ট্রেন সহজেই চলাচল করতে পারে কিন্তু পাহাড়ের উচু নিচু পথে চলার জন্য চাঁন্দের গাড়ী নামে এক ধরনের বিশেষ গাড়ী ব্যবহার করা হয়।  


১৩. ঘর-বাড়ীর ধরন: 

ভূ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘরবাড়ির ধরনের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। সাধারণত আমাদের দেশের নিচু এলাকাতে অধিক পরিমাণ টিনের ঘর পরিলক্ষিত হয় কিন্তু বরেন্দ্রভূমি ওভাওয়াল মধুপুর গড় অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে মাটির ঘর দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে শহর এলাকায় ইট-পাথরের অট্টালিকা গড়ে উঠছে। 


১৪. পোষাক-পরিচ্ছেদ:

ভূ প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য ভিন্নতার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে পোশাক-পরিচ্ছদের ভিন্নতা দেখা যায়।  শীতের সময় মোটা পশমি কাপড় আবার গরমের সময় হালকা রঙের সুতি কাপড়ের  পরা এদেশের মানুষের রীতি। মিলনছলে পাহাড়ের মত সন্তান না থাকায়  কাপর বুননের কাজটি তারা নিজেরাই করে থাকে। 

১৫. সাহিত্য ও সঙ্গীতের উপর প্রভাব:

ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সাহিত্য ও সংগীত এর উপর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আমাদের দেশের সংগীতে এবং সাহিত্যে এদেশের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। নদী অধ্যুষিত অঞ্চল গুলোতে ভাটিয়ালি গানের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। এছাড়া জারি গান, সারি গান, জসিম উদ্দিনের’ নকশী কাঁথার মাঠ’, জীবনানন্দ দাশের ’রূপসী বাংলা’ প্রভৃতি সাহিত্য ও সংগীতে এদেশের ভূ-প্রাকৃতির বৈশিষ্ট্যের প্রভাব লক্ষণীয়। 


আরও পড়ুন-

বিদায় হজ্বের ভাষণ এবং   হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কর্তৃক ঘোষিত সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংস্কারাবলী 


১৬. পেশা নির্বাচনে প্রভাব:

পেশা নির্বাচনে ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য  লক্ষণীয় যেমন নদীর তীরবর্তী লোকেরা সাঁতার এবং মৎস্য আহরণে পারদর্শী হয়। সমতল ভূমির লোকেরা চাষাবাদে পারদর্শী হয়।শিল্প-কারখানা অধ্যুষিত অঞ্চলের লোকেরা শ্রমিক হিসেবে পেশা নির্বাচন করেন। উপকূলীয় অঞ্চলের লোকেরা সমুদ্রে মাছ শিকারের আগ্রহী হয়। সাধারণ লোকেরা শহর অঞ্চলের লোকেরা অফিস-আদালতে  চাকরি করে থাকে। 

১৭. কুটির শিল্প:

যেসব অঞ্চলে মেলা বসে এসব অঞ্চলের নারীরা অবসর সময়ে নানা বিধ হস্তশিল্পের জিনিসপত্র তৈরি করে সেগুলো মেলাতে বিক্রি করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। সমতল ভূমিতে বর্ষাকালে কাজ কম থাকে বিধায় মহিলারা কুটির শিল্প তৈরি করে । ফলে এসব অঞ্চলে কুটির শিল্পের বিকাশ ঘটে। পাহাড়ি অঞ্চলের নারীরাও সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রক্রিয়ায় বেশ অভিনব কুটির শিল্প তৈরি করে থাকে।

১৮. আড্ডা ও গল্প:

ভূ প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য এর কারণে মানুষের মধ্যে আড্ডাও গল্পের প্রবণতা লক্ষণীয়। সাধারণত সমতল ভূমিতে বর্ষাকালে মানুষের বেশি কাজ থাকেনা তখন তারা এ সময়টি আড্ডায় মেতে উঠে। নারীরা একসঙ্গে মিলে গল্পগুজবে লিপ্ত হয়, অন্যদিকে পুরুষরা বিকালবেলা দোকানে বা চায়ের আশরে গল্প এবং আড্ডায় মেতে উঠে। পক্ষান্তরে পাহাড়ি অঞ্চলের লোকেরা এরকম সুযোগ খুব একটা পায় না। এক্ষেত্রে শাহ আব্দুল করিমের গান টি বিশেষ উল্লেখযোগ্য-

বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্র এদেশের মানুষের জীবনকে করেছে বৈচিত্র্যময়। কোথাও পাহাড়ি অঞ্চল, কোথাও উঁচু ভূমি, কোথাও নিচু ভূমি, কোথাও কর্দমাক্ত আবার কোথাও বালুকাময় আবার কোথাও আঠালো ও সক্ত। কোথাও নদীর বহুলতা আবার কোথাও বিস্তীর্ণ সমভূমি এসব বৈশিষ্ট্য এদেশের মানুষ, সমাজ ,সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক জীবনে  প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। 




আরও পড়ুন-







Md. Billal Hossain

B.A. Honors (1st Class 4th), M.A. (1st Class 2nd), University of Dhaka

BCS General Education

Lecturer

Department of Islamic History & Culture

Chandpur Govt. College, Chandpur.








No comments:

Post a Comment