নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুনঃ ভাগ্য বিড়ম্বিত এক মুঘল সম্রাট
সম্রাট নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন(1530-1556)
(The Emperor Nasiruddin Muhammad Humayun)
নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ুন মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট, যিনি ১৫৩০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ এবং ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দুই দফায় আধুনিক আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের উত্তরাঞ্চলে রাজত্ব করেছেন। তিনি এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের পুত্র ছিলেন। তিনি তার পিতা বাবরের মতই তার রাজত্ব হারিয়েছিলেন, কিন্তু পারস্য সাম্রাজ্যের সহায়তায় পরিনামস্বরূপ আরও বড় রাজ্য পেয়েছিলেন। ১৫৩০-এর ডিসেম্বরে, হুমায়ুন ভারতীয় উপমহাদেশের মুঘল ভূখণ্ডের শাসক হিসেবে দিল্লির সিংহাসনে তাঁর পিতার উত্তরাধিকারী হন। হুমায়ূন যখন ২২ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি একজন অনভিজ্ঞ শাসক ছিলেন। তাঁর সৎ ভাই, কামরান মির্জা তাদের পিতার সাম্রাজ্যের উত্তরতম অংশ কাবুল এবং কান্দাহার উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন। পরে মির্জা হুমায়ূনের তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে। হুমায়ুন শেরশাহ সুরির কাছে পরাজিত হয়ে মুঘল সাম্রাজ্য হারিয়েছিলেন, কিন্তু সাফাভি রাজবংশর সহায়তায় ১৫ বছর পরে তা পুনরুদ্ধার করেন। এরপর, হুমায়ুন খুব অল্পদিনের মধ্যে সাম্রাজ্যের সীমা বৃদ্ধি করেন।
জন্ম ও পরিচয় এবং ক্ষমতায় আরোহন
জন্ম :১৫০৮ সালের ৬ মার্চ আফগানিস্থানের কাবুলে
প্রকৃত নাম : নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ
ডাকনাম : হুমায়ুন (সৌভাগ্যবান)
তার পিতা মোঘল সম্রাট জহিরউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর আর মাতা হামিদা বানু বেগম। তিনি বাবরের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিনি ছিলেন হেরাতের সুলতানের আত্মীয়। জন্মের মাত্র ৪ বছর পরেই হুমায়ুনের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। গণিত, দর্শন, জ্যোতির্বিজ্ঞানে ছিল তার দুর্নিবার আগ্রহ। আরবি, তুর্কি, ফারসীতে ছোটবেলা থেকেই তিনি অনর্গল কথা বলতে পারতেন। বাবর হিন্দুস্তানের উত্তরাংশ বিজয় করে নিলে তিনি হিন্দি ভাষার সাথে পরিচিত হন এবং ভাষাটি আয়ত্ব করে নেন। ইসলামী ধর্মতত্ত্ব, দর্শন আর তুর্কি সাহিত্য, ফারসি সাহিত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে তিনি একজন দক্ষ মানুষ ছিলেন। একজন বিদ্যানুরাগী আর চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে বালক বয়স থেকেই তিনি বেশ বিখ্যাত ছিলেন। তবে তিনি কিছুটা অগোছালো প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।
২০ বছর বয়সে তিনি বাদাখশানের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। বাবর এর মৃত্যুর চার দিন পর ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর তিনি পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
প্রাথমিক সমস্যাবলী
ভাতৃ দ্বন্ধ:
মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাট হওয়ার পথটা হুমায়ুনের জন্য খুবই পিচ্ছিল ছিল। অনেক ষড়যন্ত্র আর বাঁধা-বিপত্তি পাড়ি দিয়ে তাকে পিতার সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসতে হয়েছিল। অবশ্য বসেও তিনি খুব একটা স্বস্তি পাননি। শুরুতেই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে তাকে। তার ভাইয়েরাও তাকে কম বিরক্ত করেনি। তিনি তার পিতার কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিলেন যে, ভাইয়েরা তাকে যতই বিরক্ত করুক না কেন, তিনি যেন তাদের প্রতি কখনোই কঠোর না হন। এই প্রতিজ্ঞাটি রক্ষা করতে গিয়ে তিনি তার পরবর্তী জীবনে বেশ কষ্ট করেছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত হুমায়ুন সিংহাসনের দৌড়ে নিজেকে আত্মীয়দের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন।
হুমায়ুন - দিল্লির সম্রাট
কামরান - কাবুল ও কান্দাহারে শাসক
হিন্দাল - মেওয়াটের শাসনকর্তা
আসকারী - সম্বল এর শাসনকর্তা
আত্মীয়-স্বজনদের শত্রুতা
আফগান শক্তির বিরোধীতা
গুজরাটে বিদ্রোহ (বাহাদুর শাহ)
বাংলায় বিদ্রোহ (নুসরত শাহ)
সামরিক বাহিনীর অনৈক্য
দুর্বল সাম্রাজ্য
হুমায়ুনের ব্যক্তিগত দুর্বলতা
মুঘল-আফগান দ্বন্দ্ব সংঘাত (১৫৩০-১৫৪০)
মুঘল-আফগান দ্বন্দ্বের কারণ
আফগানরা মুঘলদের নিকট ক্ষমতা হারিয়েছিল
আফগান শক্তির চুড়ান্ত ধ্বংস না হওয়া
আফগানদের জাতীয়তাবাদী চেতনা
মুঘল-আফগান দ্বন্দ্ব সংঘাত (১৫৩০-১৫৪০)
কালিঞ্জর দুর্গা অবরোধ -1531 (বুন্দেলখন্ড)
মাহমুদ মাহমুদী কে দমন-1532 (দৌরার যুদ্ধ)
চুনার দুর্গ অবরোধ-1532 (শের খান নিয়ন্ত্রিত)
গুজরাট বিজয়-1535 (বাহাদুর শাহের বিবুদ্ধে)
বাহাদুর শাহের গুজরাট পুনরুদ্ধার (পর্তুগীজদের সহায়তায়)
হুমায়ুন-শেরশাহ সংঘর্ষ (মুঘল-আফগান দ্বন্দ্ব সংঘাত )
চুনার দুর্গ অবরোধ-1538
হুমায়ুনের বাংলা অধিকার-1538
চৌসার যুদ্ধ-1539
কনৌজের যুদ্ধ/বিলগ্রামের যুদ্ধ-1540
হুমায়ুনের নির্বাসন স (1540-45)
হুমায়ুনের নির্বাসন (1540 – 1545):
হুমায়ুনের সাফল্যতার বেড়াজালে এবার অন্ধকারের ঘনঘটা আবির্ভুত হয়।যার জ্বলন্ত নিদর্শন হলো-1539 খ্রিস্টাব্দের 26 শে জুন চৌসারের যুদ্ধে মুঘল বাহিনী সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয়। এর পরের বছর শেরশাহ হুমায়ুনের সাথে আরেকটি যুদ্ধে লিপ্ত হন ১৫৪০ সালে গঙ্গা নদীর তিরুবর্তী কনৌজের যুদ্ধে (অপর নাম বিলগ্রামের যুদ্ধ) শের শাহ হুমায়ূনকে চূড়ান্তরূপে পরাজিত করেন৷ অতঃপর দিল্লি এবং আগ্রা দখল করে মোঘল বংশের সাময়িক পতন ঘটিয়ে শুরী বংশ প্রতিষ্ঠা করেন৷
যাযাবর হুমায়ুন এবং পুত্র আকবরের জন্ম:
হুমায়ুন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে কোন রকমে প্রাণ হাতে নিয়ে লাহোরে আশ্রয় নেবার চেষ্টা করলে সৎভাই মির্জা কামরানের ভয়ে পালিয়ে যান।তিনি অমরকোটের রাজা রানা বীরশালের কাছে সাহায্য প্রাথর্না করলে বীরশাল হুমায়ুনকে আশ্রয় প্রদান করেন।আর এই অমরকোটেই 1542 খ্রিস্টাব্দের 15 ই অক্টোবর আকবর হামিদা বানু বেগমের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।15 বছর হুমায়ুন ভ্রাম্যমাণ জীবন কাটান। এই কারণে ঐতিহাসিক পার্শিভ্যাল স্পিয়ার হুমায়ুনকে “Problem Child” বা সমস্যা প্রবন বালক বলে অভিহিত করেছেন।
হুমায়ুনের পরাজয় ও শেরশাহের সাফল্যের কারণ
উত্তরাধীকার সুত্রে দুর্বল সাম্রাজ্য প্রাপ্তী
সাম্রাজ্যের বিভাজন
সামরিক, প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক দক্ষতার অভাব
হুমায়ুনের ব্যক্তিগত সরলতা
আপনজনদের শত্রুতা
সেনাবাহিনীর অনৈক্য
শের শাহের সামরিক ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা
শের শাহের প্রশিক্ষিত ও সৃশৃংখল সেনাবাহিনী
শের শাহের প্রতি আফগানদের সক্রীয় সর্মথন
হুমায়ুনের পারস্যে গমন:
হুমায়ুন তাঁর সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারের প্রবল বাসনায় 1543 খ্রিস্টাব্দে বোলান গিরিপথের পাশ দিয়ে আফগানিস্থানে প্রবেশ করেন,এবং আফগানিস্থানের মধ্যদিয়ে পারস্যে যান।এই সময় তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী হামিদা বানু বেগম-বৈরাম খাঁ এবং মুলাপীর মহম্মদ।হুমায়ুন পারস্যে পৌঁছালে পারস্যের বাদশাহ তহমাস্প্ তাকে আশ্রয় দেন এবং ভারত জয়ের জন্য সাহায্য করেন।1545 খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তহমাস্প্ এর সহযোগিতায় হুমায়ুন কান্দাহার দখল করেন।
3. রাজ্য পুনরুদ্ধার (1544 – 1556):
1545 খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তহমাস্প্ এর সহযোগিতায় হুমায়ুন কান্দাহার দখল করেন। কান্দাহার দখলের পর হুমায়ুনের মধ্যে আশার প্রদীপ জাগ্রত হয়। বৈরাম খাঁকে কান্দাহারের শাসনকর্তা নিয়োগ করে হুমায়ুন কাবুলে যাত্রা করেন।তবে হুমায়ুনকে সব কাজেই সাহায্য করেন ছোটভাই হিন্দাল,ষড়যন্ত্রকারী কামরান ভয়ে পালিয়ে যান।1546 খ্রিস্টাব্দের 18 ই নভেম্বর হুমায়ুন কাবুলে প্রবেশ করেন।ঐ বছরই তিনি উজবেকদের পরাস্ত করে 1550 খ্রিস্টাব্দে তিনি কাবুল অভিমুখে অগ্রসর হন।1551 খ্রিস্টাব্দে হুমায়ুন ভাই আশকরীকে মক্কায় পাঠান,ছোটভাই হিন্দাল তাঁর সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হন।1553 খ্রিস্টাব্দে ঘরের শত্রু ষড়যন্ত্রকারী ভাই মির্জা কামরানকে বন্দী ও অন্ধকরে মক্কায় পাঠান।
সিংহাসন পুনরুদ্ধারের অদম্য বাসনায় হুমায়ুনকে ব্যতীব্রস্থ করে তোলে। এরপর হুমায়ুন 1554 খ্রিস্টাব্দের 25 শে ডিসেম্বর পেশোয়ারে যান ও বৈরাম খাঁর সাথে মিলিত হন।1555 খ্রিস্টাব্দে তিনি “মাচিয়ারের” যুদ্ধে আফগানদের পরাজিত করলে অযোগ্য আফগান সুলতান সিকান্দার শূর পর্বতে পলায়ন করেন এবং বৈরাম খাঁ তার পিছু ধাওয়া করে তাকে হত্যা করেন। হুমায়ুন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র আকবরকে পাঞ্জাবের শানকর্তা নিয়াগ করেন। 1555 খ্রিস্টাব্দের 23 শে জুলাই হুমায়ুন বীরদর্পে দিল্লী প্রবেশ করেন। দিল্লি এবং আগ্রা জয় পুনরায় অধিকার করার মাধ্যমে তাঁর 15 বছরের ভ্রাম্যমাণ জীবনের অবসান ঘটান।
হুমায়ুনের মৃত্যু(1556)
হুমায়ুন 15 বছর রাজ্য হারিয়ে 1555 খ্রিস্টাব্দে পুনরায় রাজ্য ফেরে পেলেও তাঁর স্বাদ আস্বাদন বেশিদিন করতে পারিনি।তিনি সব কিছু ফিরে পেলেও তাঁর সৌভাগ্যের চাকা বিপরীত দিকে ধাবিত হয়,যার ফলস্বরূপ 1556 খ্রিস্টাব্দের 24 শে জানুয়ারি দিল্লীর দিন পনাহ্ বা শের মডেলের গ্রন্থগারের সিঁড়ি থেকে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং 26 শে জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রাম্ভিক জীবন সাফল্যতা দিয়ে শুরু হলেও মাঝপথের জীবন ছিল খুবই দুর্বিষহ।তবে বেশিরভাগ ঐতিহাসিকদের মতে পারিবারিক ও অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ তাঁর জীবনে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির তৈরি করেছিল।তবে তাঁর শেষ জীবন সাফল্যতায় ভরা ছিল।তাঁর সাম্রাজ্যবাদী জীবনের নানা উথাল পাথাল ঘটনা এবং তাঁর একাগ্রতা ইতিহাসে বিশিষ্ট স্থান দান করেছে।তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
চরিত্র ও কৃতিত্ব
সম্রাট হুমায়ুনের চরিত্রে নানা মানবীয় গুনাবলীর অপূর্ব সমাবেশ দেখা যায়। ঐতিহাসিকদের মতে তিনি ছিলেন সরল, অনাড়ম্বর, দয়ালু,উদারচিত্ত, এবং হৃদয়বান। তিনি ছিলেন কর্তব্যপরায়ণ ও অনুগত, স্নেহশীল, বিশ্বস্ত ও উষ্ণ হৃদয়ের বন্ধু এবং প্রেমময় স্বামী।হুমায়ুন ভদ্রোচিত, শান্ত, বাৎসল্য প্রবন ছিলেন । তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল পরম শত্রুকে ক্ষমা করা। বিরুদ্ধচারী ভাই ও জ্ঞাতিদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ তার উদার চিত্রের পরিচায়ক। ইতিহাসবিদের মতে হুমায়ুন শিক্ষিত, মার্জিত রুচি এবং শিষ্টাচারী ছিলেন এবং তার মধ্যে সমর দক্ষতারও অভাব ছিল না। ঐতিহাসিক ফিরিস্তার মতে চরিত্রের গুণাগুণ এর বিচারে হুমায়ূন অতুলনীয় তবে তার কিছু চারিত্রিক ত্রুটি তার সমস্ত গুণাবলী কে ম্লান করে দিয়েছে । হুমায়ুনের মধ্যে পিতা বাবর এর মতো তেজস্বীতা এবং রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি ছিল না।
তিনি ছিলেন কবিতাপ্রেমী এবং কবি হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিলো।‘দিওয়ানি হুমায়ুন’ তার একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।ধর্মতত্ত্ব দর্শন এবং গণিত শাস্ত্রের প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল ঐতিহাসিক আবুল ফজল এর মতে হুমায়ুন অ্যারিস্টোটলের মতো জ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, বহু জ্ঞানী পন্ডিত ব্যক্তি তার রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন। হুমায়ুন দিল্লিতে দিনপানহা বা বিশ্বাসিদের আশ্রম নামে একটি নগরী নির্মাণ করেন। একটিন সুসজ্জিত গ্রন্থাগার ছিল এ নগর এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। হুমায়ূন হুমায়ুন ব্যক্তি জীবনে নিষ্ঠাবান মুসলমান তবে তিনি ধর্মান্ধ ছিলেন না।
হুমায়ুনের মধ্যে মানবিক গুণাবলির পূর্ণতা থাকলেও রাজকীয় গুণের যথেষ্ট অভাব ছিল।শাসক হিসেবে তিনি বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিতে পারেননি।ইতিহাসে স্থান লাভ এর মত কোন আইন বা শাসনবিধি তিনি প্রণয়ন করতে পারেননি। প্রজাসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কোন জনহিতৈষী মূলক কাজ ও তার দ্বারা সম্পাদিত হয়নি। ঐতিহাসিকগণ তাকে একজন ব্যর্থ শাসক হিসেবেই রায় দিয়েছেন। ঐতিহাসিক লেনপুল এর মতে তার চরিত্র আকর্ষণ করে কিন্তু প্রভাবিত করে না। মানুষ হিসেবে যেমনই হোক না কেন সম্রাট হিসেবে হয়েছিলেন ব্যর্থ । তবে নানা ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে তিনি ভারতবর্ষের লুপ্ত মুঘল সাম্রাজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। আর এর উপর দাঁড়িয়ে এই সম্রাট আকবর ভারতে বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। কাজেই এজন্য হুমায়ূনকে ভারতের ইতিহাস মনে রাখবে।
Md. Billal Hossain
B.A. Honors (1st Class 4th), M.A. (1st Class 2nd), University of Dhaka
BCS (General Education)
Lecturer
Department of Islamic History Culture
No comments:
Post a Comment