সম্রাট আকবরের সামরিক নীতি এবং মনসবদারী প্রথা
মুঘল সামরিক ব্যবস্থায় আকবরের মনসবদারী সিস্টেম একটি নতুন সংযোজন। মানসবদারি সিস্টেমই ছিল আকবরের সামরিক বাহিনীর মূল ভিত্তি। মনসবদারী প্রাথার মাধ্যমে আকবর সরাসরি নিজে কোন সেনাবাহিনী প্রতিপালন না করেও এক বিশাল সেনাবাহিনীর মালিক হয়েছিলেন। মনসবদারী সিস্টেমের মাধ্যমে আকবর সেনাবাহিনীর নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা বৃদ্ধির সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। ইতিপূর্বে পারস্যে এরকম ব্যবস্থা থাকলেও ভারতে আকবরই প্রথম এই পদ্ধতির প্রচলন করেন। এক্ষেত্রে তিনি বহুলাংশে সফল হলেও অনেক ক্ষেত্রেই এর ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল।
আকবরের সেনাবাহিনী
আকবরের সেনাবাহিনী প্রধানত চার ভাগে বিভক্ত ছিল।
পদাতিক বাহিনী:
পদাতিক বাহিনী সাধারণ শ্রেণী পেশার মানুষ দ্বারা গঠিত ছিল। এতে বন্দুকধারী, তলোয়ারধারী, এবং তিরন্দাজ ছিল।
অশ্বারোহী বাহিনী
অশ্বারোহী বাহিনী ছিল আকবরের সামরিক বাহিনীর মূল শক্তি। অশ্বারোহী বাহিনীকে সম্রাট সর্বাপেক্ষা উন্নত করবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। আকবরের অশ্বারোহী বাহিনী প্রধানত রাজপুত এবং পাঠানদের দ্বারা গঠিত ছিল। অশ্বারোহীর সংখ্যা ছিল প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার।
গোলন্দাজ:
পাশাপাশি ছিল হস্তি সংযুক্ত গোলন্দাজ বাহিনী। আকবরের পদাতিক বাহিনীর সংখ্যা ছিল খুবই ছোট। আকবরের গোলন্দাজ বাহিনী তোপখানা নামে পরিচিত ছিল।কামান, বন্ধুক, গোলাবারুদ ইত্যাদি দ্বারা তিনি গোলন্দাজ বাহিনীকে সজ্জিত করেছিলেন।
নৌ বাহিনী:
পর্তুগীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সম্রাট নৌ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। মগ এবং পর্তুগীজদের থেকে উপকূল রক্ষার জন্য সম্রাট শক্তিশালী নৌ বাহিনী গঠন করেছিলেন।
সম্রাট আকবরের সৈন্যে সংখ্যা:
সম্রাট আকবরের সৈন্য সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। ঐতিহাসিকদের বিশ্লেষণে সম্রাট আকবর সরাসরি বিশাল সৈন্যবাহিনী পোষণ করেননি। ব্লকম্যানের মতে রাজকোষ থেকে বেতনভোগী সৈনিকের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। আবুল ফজল এর বরাত দিয়ে ঐতিহাসিক ডোরন বলেন- আকবরের অশ্বারোহী সৈন্যের সংখ্যা ছিল 3,84,758 এবং পদাতিক সৈন্য সংখ্যা ছিল 38,77,557। গবেষক আইরভিন এ সংখ্যাকে ভুল বলে মন্তব্য করেছেন। জার্মানির ঐতিহাসিক কাউন্ট ভন্ড নোয়ের অশ্বারোহী বাহিনীর সংখ্যা ৪০ হাজার বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ঐতিহাসিকদের এসব মতামত কোনটিই আকবরের সৈন্য সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারেনি। ঐতিহাসিক ঈশ্বরী প্রসাদের মতে- আকবরের সৈন্য সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি ছিল এবং সেটা কোনভাবেই তিন লক্ষের কম নয়।
মনসবদারী প্রথা প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট
অপেশাদারিত্ব ও অদক্ষতা দূরীকরণ:
আকবরের ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে সেনাবাহিনীর অবস্থা সুশৃংখল ছিল না। সে সময়ে যুদ্ধ বিগ্রহের কালে প্রয়োজনবোধে সৈনিক সংগ্রহ করা হতো। ঐতিহাসিক আব্দুল কাদের বাদাউনীর মতে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের তন্তুবায়, ছুতার, মোদি প্রভৃতি নানা বৃত্তির লোক সেনাবাহিনীতে যোগদান করত। এর ফলে সেনাবাহিনীতে নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের খুবই অভাব ছিল। এসব অপেশাদারিত্ব ও অদক্ষতা দূর করার জন্য আকবর মনসবদারির প্রথা প্রবর্তন করেন।
জায়গিরদারী ব্যবস্থার ব্যর্থত:
সম্রাট আকবরের রাজত্বের শুরুর দিকে পূর্বেকার জায়গীরদারি প্রথা প্রচলিত ছিল। সম্রাটকে সামরিক বেসামরিক বিভিন্ন প্রয়োজনে সাহায্য করার শর্তে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট এলাকার জায়গীধারী ভোগ করতেন। কালক্রমে এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারের খালাসা ভূমি কমে যায় এবং রাজস্ব ঘাটতি দেখা দেয়।
দুর্নীতি রোধ:
অধিকাংশ জায়গীরদারেরা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।। সম্রাটের প্রয়োজনে তারা সম্রাটকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সামরিক সহায়তা দিতে ব্যর্থ ছিলেন। অথবা সহযোগিতা করলেও তাদের সৈন্যবাহিনীর গুণগত ও সংখ্যাগত মান ও পেশাদারিত্ব ছিল খুবই নিম্নমানের যা সম্রাটকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
জায়গীরদারদের বিদ্রোহ :
সুলতানি আমাদের শেষদিকে জায়গিরদারির প্রথা বংশানুক্রমিক হয়ে পড়েছিল। বংশ পরস্পরায় জায়গিরদারী হস্তান্তরিত হতো। এই ব্যবস্থায় জায়গীরদারেরা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠে অনেক সময় সম্রাটের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করত।
বিশাল বাহিনী গড়ে তোলা:
নিজে সরাসরি সৈন্য পোষণ না করেও পরোক্ষভাবে আকবর বিশাল বাহিনী পোষন করার জন্য মনসবদারির কথাবর্তন করেন। এই পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে আকবর সামরিক বাহিনী পরিপালন চিন্তা নিজের মাথায় না রেখে মনসবদারের মাথায় দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-
মনসবদারী প্রথার প্রবর্তন:
মনসব শব্দের অর্থ পদমর্যাদা/অফিস/ র্যাংক। যিনি এই পদ্ধতির অধীন কোন পদমর্যাদা বা র্যাংকের অধিকারী হতেন তাকে বলা হতো মনসবদার। সেনাবাহিনীতে নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং সামরিক অব্যবস্থাপনা দূর করার লক্ষ্যে ১৫৭১ সালে আকবর শাহবাজ খানকে মীর বকসী পদে নিয়োগ করে যে সামরিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করেন তাই ইতিহাসে মনসবদারী প্রথা নামে পরিচিত। কোন কোন বর্ণনা মতে আকবর ১৫৬৬ সালে প্রথম মনসবদারী ব্যবস্থার সূচনা করেন। মনসবদারী প্রথা ভারতে আকবর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হলেও একটি পারস্যে ইতিপূর্বে প্রচলিত ছিল। তবে সম্রাট আকবরের মনসবদারী প্রথা ছিল সুসংহত, সুবিন্যস্ত এবং সুনির্দিষ্ট।
মনসবদারী প্রথা প্রবর্তনের উদ্দেশ্য
ঐতিহাসিক আইরভিনের মতে আকবর তিনটি উদ্দেশ্যে মনসবদারির প্রথা প্রবর্তন করেন-
মনসবদারকে মুঘল সম্রাটের কর্মচারী রূপে পরিগণিত করা;
মনসবদারদের মধ্যে পদমর্যাদার ধাপ এবং বেতনের কমোন্নতি নির্ধারণ করা;
নির্দিষ্ট সংখ্যক পদাতিক ও অশ্বারোহী বাহিনী পোষন করা এবং প্রয়োজনে তা সম্রাটকে সরবরাহে বাধ্য করা।
মনসবদারী প্রথার বৈশিষ্ট্যসমূহ:
প্রত্যেক মনসবদার তার পদমর্যাদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্য, অশ্ব ,হস্তি প্রস্তুত রাখতে বাধ্য থাকবেন।
প্রয়োজনে সম্রাট যখনই চাইবেন তখনই নির্দিষ্ট পরিমাণ সৈন্য,অশ্ব এবং হস্তি সম্রাটকে সরবরাহে মনসবদারারা বাধ্য থাকবেন।
মনসবদারগণ তাদের পরিপালনকৃত সেনাবাহিনী ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ের জন্য সম্রাটের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ অথবা জায়গীরদারী লাভ করতেন।
মনসবদারী সিস্টেম ছিল একটি যোগ্যতা ভিত্তিক পদ্ধতি বংশানুক্রমিক নয়। অর্থাৎ যোগ্যতার ভিত্তিতেই মনসবদার নিয়োগ দেয়া হতো।
বড় বড় মনসবদারদেরকে সম্রাটের পক্ষ থেকে বিশেষ খেতাব দেয়া হতো । যেমন খান-ই-খানান, খান-ই-জাহান।
মনসবদারদেরকে এক জায়গীর থেকে অন্য জায়গীরে বদলি করার নিয়ম ছিল।
মনসবদারের মৃত্যু হলে তার সমস্ত সম্পত্তি সম্রাটের অধীনে চলে যাবে।
মনসবদারদের স্তরবিন্যাস:
আবুল ফজল এর মতে সব মিলিয়ে ৬৬ প্রকারের মনসবদার ছিল। অর্থাৎ মনসবদারদের মোট র্যাংক সংখ্যা ছিল ৬৬ টি । কিন্তু ঐতিহাসিকদের বিচার বিশ্লেষণে ৩৩ প্রকারের বেশি মনসবদার পাওয়া যায়নি।
মনসবদারদের সৈন্য সংখ্যার পরিমাণ:
৬৬ টি র্যাংক এর মধ্যে যিনি সর্বনিম্ন র্যাংক পেতেন তিনি ১০ জন সৈন্য পোষণ করতে পারতেন। আর যিনি সর্বোচ্চ রেংক পেতেন তিনি 10,000 পর্যন্ত সৈন্য পোষণ করতে পারতেন। অর্থাৎ এ নীতির মাধ্যমে ১০ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত সৈন্য পোষনের সুযোগ ছিল। সাধারণত ১০ জন থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত র্যাংক গুলো বিতরণ করা হতো। সাত থেকে দশ হাজারের র্যাংকগুলো ছিল রাজ পরিবার বা সরকারের আস্থাভাজন বিশেষ বিশেষ সদস্যদের জন্য নির্ধারিত।
জাট এবং সওয়ার
মনসবদারি সিস্টেমের সাথে জাট পদ এবং সওয়ার পদ নামে দুটি শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। এ দুটি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ঐতিহাসিক ব্লকম্যান এর মতে একজন মনসবদারকে যে নির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্য পোষণ করার কথা জাট পদ দ্বারা ওই সংখ্যা কে নির্দেশ করে। আর আর তিনি প্রকৃতপক্ষে যে পরিমাণ সৈন্য পোষণ করতেন সওয়র দ্বারা ঐ সংখ্যা কে নির্দেশ করে। যেমন-
এখানে 5000 হচ্ছে একজন মনসবদারের জাটপদ আর 4500 হচ্ছে তার সাওয়ার পথ।
কিন্তু ঐতিহাসিক ঈশ্বরী প্রসাদ এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন জাত পদ হচ্ছে একজন মনসবদারের ব্যক্তিগত পদ। অর্থাৎ যে পরিমাণ সৈন্য থাকে পোষণ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেটা ছিল জাট পদ। কিন্তু এর বাইরেও আনুসাঙ্গিক আরো কিছু সৈন্য তিনি পরিপালন করতেন এবং যার বিনিময়ে তিনি অতিরিক্ত ভাতা পেতেন এই অতিরিক্ত সৈন্যের সংখ্যা হচ্ছে তার সওয়ার পদ। যেমন-
এখানে একজন মনসবদারের পাঁচ হাজার সৈন্য পোষণ করার কথা থাকলেও তিনি পাঁচ হাজার পোষণ করার পাশাপাশি আরও অতিরিক্ত এক হাজার অর্থাৎ মোট 6000 পোষণ করেছেন। এখানে পাঁচ হাজার হচ্ছে তারঁ জাটপদ আর ৬০০০ তার সওয়ার পদ।
মনসবদারদের শ্রেণীবিভাগ
৩৩ অথবা ৬৬ ধরনের মানসবদারকে আবার তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে । জাট এবং সাওয়ারের ভিত্তিতে মনসবদারেদের শ্রেণীবিভাগ নির্ধারিত হতো। যেমন-
অর্থাৎ যেসব মনসবদারের জাট এবং সওয়ারের সংখ্যা সমান সমান তিনি প্রথম শ্রেণীর মনসবদার। যার সওয়ারের সংখ্যা জাটের অর্ধেক তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীর মনসবদার আর যার সওয়ারের সংখ্যা জাটের অর্ধেকেরও কম বা আদৌ সওয়ার নেই তিনি তৃতীয় শ্রেণীর মনসবদার।
আহদী বাহিনী:
আহদী বাহিনী ছিল সম্ভ্রান্ত যুবকদের দ্বারা গঠিত সম্রাটের দেহরক্ষী বাহিনী। সম্রাট নিজে তাদের নিয়োগ করতেন। তারা মনসব গ্রহণ করেননি। কিন্তু মনসবদারদের চেয়ে তাদের বেশি বেতন ভাতা পেত।
দাখিলী বাহিনী:
দাখিলী বাহিনী ছিল মনসবদারদের অধীনে রাষ্ট্রের ব্যয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্য দ্বারা গঠিত বাহিনী।
দাগ এবং চেহরা:
সম্রাট আকবরের মনসবদারী সিস্টেমে ‘দাগ’ এবং ’চেহরা’ নামে দুটি শব্দ পাওয়া যায়। মনসবদারগণ প্রায়ই মিথ্যাচারের আশ্রয় নিতেন। মনসবদারেরা জালিয়াতি করে মিথ্যা সৈনিক সমাবেশ দেখাতেন। কখনো তারা সাধারণ লোককে সৈনিকদের পোশাক পরিয়ে দিতেন কখনো বা অন্যখান থেকে ভাগিয়ে আনা সৈনিক এবং ঘোড়া নিজের বলে চালিয়ে বেতন ভাতা আদায় করতেন। এরকম জালিয়াতি দূর করার জন্য আকবর এই ব্যবস্থায় ’দাগ এবং ’চেহারা’ পদ্ধতি চালু করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে মনসবদারের ঘোড়াগুলোর শরীরে দাগ দেওয়া হতো এবং সৈন্যদের দৈহিক বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হতো। যাতে করে একই ঘোড়া বা সৈনিক দুই জায়গায় তালিকাবদ্ধ হতে না পারে।
মনসবদারী প্রথার সুফল
মনসবদারী সিস্টেম প্রবর্তনের মাধ্যমে আকবর সরাসরি সৈন্য পরিপালন না করেও এক বিশাল সেনাবাহিনীর মালিক হয়েছিলেন।
জায়গিরদারী ব্যবস্থার পরিবর্তে মনসবদারদেরকে নগদ অর্থ দেওয়ার ফলে প্রভাবশালী জমিদারদের ক্ষমতা খর্ব হয়।
মনসবদারী সিস্টেমে গঠিত সেনাবাহিনী দিয়ে আকবর রাজ্য বিস্তারে সক্ষম হন।
রাজপুতদেরকে বড় বড় মনসব দিয়ে তিনি তাদের সহযোগিতা লাভে সক্ষম হন।
মনসবদারী প্রথার কুফল
মনসবদারগণ প্রকৃতপক্ষে কখনোই তার নির্দিষ্ট পরিমাণ সৈন্য পোষণ করতেন না। প্রায়ই মিথ্যা সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়ে রাজ কোষ থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা গ্রহণ করতেন।
এই ব্যবস্থায় মনসবদারদের অধীন সৈনিকেরা আকবরের প্রতি আনুগত্যের চেয়ে মনসবদারের প্রতি অনেক বেশি আনুগত্যশীল ছিল। উল্লেখিত দুটি কারণে ভিতরগতভাবে সামরিক বাহিনীতে দুর্বলতা ছিল।
মনসবদারদের ব্যক্তিগত ঈর্ষা ও দ্বন্দ্ব এবং উচ্চ মনসব লাভের প্রতিযোগিতা তাদেরকে পারস্পরিক শত্রুতে পরিণত করেছিল। ফলে যুদ্ধের সময় ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করা সম্ভব হত না।
বড় বড় মনসবদারেরা সম্রাটের আনুকুল্য পেয়ে দরবারী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে সামরিক বাহিনীর ভীত দুর্বল হচ্ছিল।
আরও পড়ুন-
আরও পড়ুন-
বক্সারের যুদ্ধ এবং নবাব থেকে ফকির হওয়া মীর মুহাম্মদ কাশীম আলী খান
তথ্যসূত্র
এ.কে.এম.আবদুল আলীম, ভারতে মুসলিম রাজত্বের ইতিহাস
Md. Billal Hossain
B.A. Honors (1st Class 4th), M.A. (1st Class 2nd), University of Dhaka
BCS General Education
Lecturer
Department of Islamic History & Culture
Chandpur Govt. College, Chandpur.
No comments:
Post a Comment