VOC গঠন
এবং
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর সম্প্রসারিত কার্যক্রম
(Formation of VOC and its Commercial Activities)
VOC (Verenigde Oostindische Compagnie) The Dutch United East India Company সংক্ষেপে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। VOC দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডাচ বাণিজ্যের সুসংগঠিত রূপ। পতুগিজদের আবিষ্কৃত বাণিজ্য পথ ধরে দ্বিতীয় ইউরোপীয় শক্তি হিসেবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আগমন করে ওলান্দাজরা। ১৬০০ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৭৪ টি ওলন্দাজ বানিজ্যিক জাহাজ যাতায়াত করে। ব্যক্তি বা ক্ষুদ্র কোম্পানি কেন্দ্রিক এসব বাণিজ্য ছিল বাণিজ্যিক নিয়ম-কানুন বহির্ভূত এবং বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। কখনো কখনো জাহাজ ডুবির ঘটনায় কেউ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতো আবার অন্যরা মসলা বাণিজ্য করে বেশ লাভবান হত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডাচ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই বিশৃঙ্খলা দূর করে সুসংহত প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য করা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী পর্তুগিজ ও ইংরেজদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ১৬০২ সালে VOC তথা ডাচ ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানি গঠিত হওয়ার পর এর অধীনে ডাচ সরকার গভর্নর জেনারেল নিয়োগ দিলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডাচ বাণিজ্যে শৃঙ্খলা ফিরে আসে।
VOC এর পরিচয়:
ডাচ ভাষায় VOC এর পূর্ণরূপ হল Verenigde Oostindische Compagnie। ইংরেজিতে The Dutch United East India Company এবং সংক্ষেপে ভারত এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটি ‘ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ নামেই সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এটি 1602 সালের 20 মার্চ নেদারল্যান্ডে গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন ডিরেক্টর ছিলেন ১৭ জন। এর সনদের মেয়াদকাল ছিল ২১ বছর অথ্যাৎ ২১ বছর পরপর কোম্পানির সনদ সরকারের কাছ থেকে নবায়ন করতে হতো। ডাচ সরকার কোম্পানীকে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তে কেপ অফ গুড হোপ তথা উত্তমাশা অন্তরীপ এবং আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী ম্যাজেলান প্রণালীর মধ্যবর্তী অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যে একচেটিয়া অধিকার প্রদান করে।
VOC এর পরিচয় এবং গঠনের উদ্দেশ্য:
পর্তুগিজদের দেখানো পথ ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডাচদের আগমন ঘটে। বিশৃঙ্খল বাণিজ্যে শৃংখলা আনয়ন এবং পর্তুগিজ এবং নৌ বিদ্যায় পারদর্শী ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ১৬০২ সালের 20 মার্চ ডাচ সরকার ৭৬ টি কোম্পানিকে একত্রিত করে যে একটি কোম্পানি গঠন করেন তা-ই VOC বা Verenigde Oostindische Compagnie বা (Dutch United East India Company),ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এই কোম্পানিকে বাণিজ্য, জাহাজ চালনা ও রাজনৈতিক ক্ষমতা বিস্তারে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এই কোম্পানি গঠনের উদ্দেশ্য যতটা ছিল বাণিজ্যিক তার চেয়ে বেশি ছিল রাজনৈতিক। পর্তুগাল এবং স্পেনের বিরুদ্ধে ওলন্দাজ স্বার্থে যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য উপযুক্ত রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল এই কোম্পানিকে। VOC এর গঠনের পর প্রাচ্য এলাকায় ওলন্দাজ বাণিজ্য একটি বৃহৎ জাতীয় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে।
আরও পড়ুন-
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় পর্তুগিজদের আগমনঃ তাদের বাণিজ্য নীতি ও গতি-প্রকৃতি
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় VOC এর সম্প্রসারিত কার্যক্রম
(Dutch United East India Company ) এর কার্যক্রম
1600 শতাব্দীর মাঝামাঝি, VOC এর প্রায় 150টি বানিজ্যিক জাহাজ এবং প্রায় 50,000 এর মত কর্মচারী ছিল। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির 10,000 সৈন্যের একটি ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী ছিল। VOC পশ্চিমে পারস্য উপসাগর থেকে মধ্যখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্বে জাপান পর্যন্ত বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী ছিল। VOC ছিল কার্যত নেদাল্যন্ডেরে রাষ্ট্রের বাহিরে আরেকটি রাষ্ট্র। যাকে যুদ্ধ পরিচালনা করার ক্ষমতা, এশীয় শাসকদের সাথে চুক্তি করা, অপরাধীদের শাস্তি এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়া, নতুন উপনিবেশ তৈরি করা, বানিজ্য কুঠি ও ফ্যাক্টরি স্থপান, দুর্গ নির্মান, বাণিজ্য সংক্রান্ত বিচারক রাখা ও বিচারিক কার্যক্রম পরিচলনা করা, নতুন নতুন রাজ্য ও রাজনৈতিক ক্ষমতার বিস্তার এবং নিজস্ব মুদ্রা চালু করার মত নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। এটি বিশ্বের প্রথম বহুজাতিক কোম্পানি। এর আধিপত্য এমন ছিল যে 1602 থেকে 1796 সালের মধ্যে এই বহুজিাতিক কোম্পানির জাহাজগুলি নেদারল্যান্ডস থেকে এশিয়া পর্যন্ত প্রায় 5,000 বার সমুদ্রযাত্রা করেছিল।
গভর্নর জেনারেল নিয়োগ
১৬০২ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হলেও ১৬১০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের ব্যক্তিগত ও বিক্ষিপ্ত বাণিজ্য চলতে থাকে। সালে ১৬১০ সালে পিটার বোথকে প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পিঠার বোথ দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রথমেই ব্যক্তিগত ও বিক্ষিপ্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেন। কোম্পানির মাধ্যমে সু নিয়ন্ত্রিতভাবে বাণিজ্য চালু করেন এবং দ্বীপপুঞ্জে কোম্পানির জন্য একটি কেন্দ্র গঠনের পরিকল্পনা করেন।
ডাচ বাণিজ্য কেন্দ্র বাটাভিয়া প্রতিষ্ঠা:
VOC (Dutch East India Company) এর প্রধান দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ওলন্দাজ বণিকদের জন্য প্রথমে একটি স্বতন্ত্র ঘাঁটি তারপর একটি সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালান। বানতাম, মালাক্কা ও জোহরের কথা প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীতে বানতামের সুলতানের অধীনস্থ জাকার্তাকে সদর দপ্তর হিসেবে নির্বাচন করা হয়। 1619 সালে J.P কোয়েন গভর্নর জেনারেল হয়ে আসলে তিনি জাকার্তাকে ডাচ অধিকার নিয়ে আসেন এবং তিনি এর নাম রাখেন বাটাভিয়া। উল্লেখ্য যে হল্যান্ডের যে অঞ্চলে ডাচদের আদি নিবাস ছিল সে অঞ্চলকে লেটিন ভাষায় বলা হতো বাটাভিয়া।
মসলা বাণিজ্যে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা:
বাটাভিয়াতে বাণিজ্যিক সদর দপ্তর স্থাপন করার পর জে.পি কোয়েন মসলা বাণিজ্যে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি ক্রমবদ্ধমান ভাবে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকেন। ১৬২২ সালে ডাচরা জায়ফল এবং দারুচিনির উপর একচেটিয়ে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
VOC (ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি) বৃহৎ আকারের ভূখণ্ড দখলের জন্য বেশি আগ্রহী ছিলনা। বরং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো দখল করে একচেটিয়া বাণিজ্য প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ছিল বেশি। একচেটিয়া বাণিজ্যকে ধরে রাখার জন্য তারা জাভা এবং মাতারামে অনুগত শাসক বসিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। প্রাচ্যে বাণিজ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য ১৬১৯ সালে ইংল্যান্ডের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া সত্বেও ডাচদের চাপের মুখে ব্রিটিশরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের দিকে চলে আসে। একমাত্র তিমুর ছাড়া সমগ্র দ্বীপপুঞ্জ থেকেই পর্তুগিজদেরকে হটিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে VOC দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একচেটিয়া বাণিজ্যিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।
আরও পড়ুন-
পর্তুগিজদের মালাক্কা দখল (1511) এবং সুলতানের পরাজয়ের কারণসমূহ
বাণিজ্যের সম্প্রসারণে জিপি কোয়েনের নীতি:
1618 সালে জে.পি কোয়েন গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। প্রথমেই তিনি বাটাভিয়াকে ডাচ অধিকারী নিয়ে এখানে ওলন্দাজ বাণিজ্যের সদর দপ্তর স্থাপন করে। পূর্ব ভারতীয় বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য জে.পি কোয়েন তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন
দ্বীপপুঞ্জের সমগ্র জলপথের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা;
পশ্চিমের সিংহল ভারত ও পারস্য, পূর্বের মসলা দ্বীপসমূহ এবং উত্তরে চীন ও জাপান পর্যন্ত সম্প্রসারিত বাণিজ্য থেকে মুনাফা অর্জন করা এবং
নির্দিষ্ট এবং নির্বাচিত পণ্যের জাহাজ ইউরোপে পাঠানো।
তার এসব নীতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডাচ বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের মূল ভিত্তি রচনা করে। তাঁর উদ্যম ও ব্যবস্থাপনার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ায় ডাচ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় যা তিন শতাব্দীর অধিক সময় স্থায়ী হয়। মুলুক্কার মসলা বাণিজ্যে একচেটিয়া অধিকার লাভের নীতি তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে অনুসরণ করেন এবং ইন্দোনেশিয়ার উৎপন্ন জিনিস সংগ্রহের কাজে মনোনিবেশ করেন। কোম্পানির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে তিনি জোর করে উৎপন্ন শস্য আদায় করেন। আর নতুন ফসল হিসেবে কফির চাষ শুরু করেন। ব্রেইন হ্যারিসন তার সাউথ ইস্ট এশিয়া গ্রন্থে জেপি কুয়েন কে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডাচ আধিপত্য বিস্তারের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করেছেন।
According to Dr.Sardesai
“During Coen’s period, the VOC emerged well consolidated, with a strong basis for the Dutch commercial empire of the next three centuries”
“Jan Peterson Coen, the real founder of the Dutch power in the East Indies”
ভ্যান দিম্যান ও মালাক্কা দখল:
জে.পি কোয়েনের পর VOC এর গভর্নর জেনারেল হয়ে পূর্ব-ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে আসেন ভ্যান ডিম্যান। তিনি ১৬৩৬- ১৪৪৫ পর্যন্ত গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় বিশেষত 1650 সালের মধ্যে ডাচরা মসলা দ্বীপের অধিবাসীদের সম্পূর্নরূপে পরাজিত করে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। ভ্যান ডিম্যান ১৬৪১ সালে পর্তুগিজদের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র মালাক্কা দখল করে মসলা অঞ্চল থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করে একক শক্তি হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আর্বিভূত হয়।
VOC (ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি) এর বানিজ্যের সার্বিক মূল্যায়নঃ
1635 এবং 1690 এর সময়কাল ছিল VOC এর স্বর্ণযুগ। এ সময় তারা যে মুনাফা অর্জন করে তা ছিল অর্থনীতির স্বর্নযুগ। 1602 এর পর VOC কখনই নতুন শেয়ার ছড়েনি কিন্তু এর কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি শেয়ার হোল্ডাদেরকে 40% পর্যন্ত মুনাফা দিয়েছিল। কোম্পানিটি প্রায় একশত বছর ধরে জায়ফল (মাংস সংরক্ষণকারী) এবং দারুচিনি ব্যবসার উপর একচেটিয়া অধিকার ধরে রেখেছেল। যেগুলোর বেশিরভাগ ডাচ ইস্ট ইন্ডিজের ‘স্পাইস দ্বীপপুঞ্জ’ থেকে এসেছে।1750 সালের মধ্যে VOC প্রায় 50,000 লোককে নিয়োগ করেছিল এবং 10টি এশিয়ান দেশে ব্যবসা করেছিল।
আরও পড়ুন-
VOC (ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি) এর পতন:
নানাবিধ কারণে প্রায় 200 বছর পর VOC (Dutch East India Company) নামক বহুজাতিক এই কোম্পানির পতন ঘটে। সংগঠনটির জন্ম, উত্থান, স্বর্ণযুগ অতঃপর ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এর পতন ঘটেছে। কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, চোরাচালান কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অদক্ষ, অযোগ্য শাসক নিয়োগ প্রভৃতি কারণে শেষ দিকে এসে কোম্পানিটি দুর্বল হয়ে যায়। প্রথমদিকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যায়।
চতুর্থ অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধে (1780 থেকে 1784) ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি এশিয়ায় VOC এর বসতি এবং বাণিজ্য স্থপনাগুলোর উপর একাধিক সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, এই অবস্থায় VOC এর বাণিজ্য প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। VOC পঙ্গু ও ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ে। এবং যুদ্ধের পরে সেটা সারভাইভ করার জন্য সরকারি সহায়তার প্রয়োজন হয়।
1795 সালে ফরাসিরা ডাচ প্রজাতন্ত্র আক্রমণ করে এবং একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করে। 1796 সালে, VOC পরিচালনা পরিষদকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং ‘পূর্ব ভারতীয় বাণিজ্য ও সম্পত্তি সম্পর্কিত বিষয়ক কমিট ‘ এর কাছে এর দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
18 শতকের শেষের দিকে চোরাচালান, দুর্নীতি এবং ক্রমবর্ধমান প্রশাসনিক খরচের কারণে, কোম্পানিটি দেউলিয়া হয়ে যায় এবং গুরুতরভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ডাচ সরকার শেষ পর্যন্ত 1799 সালে কোম্পানির সনদ প্রত্যাহার করে এবং এর ঋণ ও সম্পত্তি গ্রহণ করে VOC সনদ, এন্টারপ্রাইজের আইনি ভিত্তি প্রত্যাহার করে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি 1799 সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এভাবে দুই শতাব্দী কাল ব্যাপী বিশ্বের বৃহত্তম কর্পোরেশনের চুড়ান্ত পতন ঘটে।
আরও পড়ুন-
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৈচিত্রে ঐক্য।। Unity In Diversity of South-East Asia।।
আরও পড়ুন-
প্রাক-মুসলিম মালয় জগতের উপর ভারতীয় ও চৈনিক প্রভাব: স্বরূপ ও তাৎপর্য
আরও পড়ুন-
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নামকরণ, অবস্থান, গুরুত্ব, প্রধান ও সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ
আরও পড়ুন-
মুহাম্মদ আলী পাশা এবং আধুনিক মিসর
আরও পড়ুন-
গ্রন্থপঞ্জি
জহর সেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তকপর্ষদ, কালকাতা ,১৯৮৫
ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ এবং ড. আবু নোমান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের ইতিহাস, এম আব্দুল্লাহ এন্ড সংন্স, তৃতীয় প্রকাশ, ঢাকা, ২০১৭
সুবোধ কুমার মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মিত্রম, কলকাতা, ২০১৫
https://museum.wa.gov.au/explore/dirk-hartog/voc-united-dutch-east-india-company
https://www.britannica.com/biography/Jan-Pieterszoon-Coen
Md. Billal Hossain
B.A. Honors (1st Class 4th), M.A. (1st Class 2nd), University of Dhaka
BCS General Education
Lecturer
Department of Islamic History & Culture
Chandpur Govt. College, Chandpur.
No comments:
Post a Comment